তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

দেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ফেনী ও বান্দরবানসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। 

শুক্রবার আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, দিনের তাপমাত্রা একটু বাড়তে পারে। রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার তাপমাত্রা বেশি থাকবে।

বিদায়ী বছরের শেষ আর নতুন বছরের শুরুতে গরমের সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার বার্তাও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে যায়। তবে গত রবিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমে যায়। এ মাসে দেশের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।